স্টাফ রিপোর্টার :তিন পুত্র পুলিশ কর্তা,এক মাত্র কন্যা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা অথচ তাদের গর্ভধারিনী মাতা আজ দুমুঠো আহারের সন্ধানে মানুষের দ্বারে দ্বারে ভিক্ষা করে জীবিকা নির্বাহ করছে। বর্তমানে তিনি এতটাই মানবেতর জীবন যাপন করছে যে দিনের এক বেলা ভাতও জুটছে না তার ভাগ্যে। এমন হৃদয় বিদারক কাহিনীটি বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলা ক্ষুদ্রকাঠী গ্রামের মৃত্যু আইয়ুব আলী সরদার এর সত্তরোর্ধ স্ত্রী মোসাঃ মনোয়ারা বেগমের । খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মৃত্যু আয়ুব আলী সরদার সাধারণ কৃষক পরিবারের সন্তান হলেও নানান অভাব অনাটনের সংসারে ৬ সন্তান নিয়ে ভালোভাবেই দিন কেঁটেছে আইয়ুব আলী সরদার ও মনোয়ারা দম্পতির। গত ২০১৪ সালের ১ অক্টোবর তারিখে ৬ সন্তানের পিতা আইয়ুব আলী সরদার মৃত্যু বরণ করেন। কিন্তু ৬ সন্তানের প্রায় প্রত্যেককেই কম বেশি শিক্ষিত করে গড়ে তুলেছেন। তাদের মধ্যে ৩ সন্তান এএসআই ফারুক হোসেন, পুলিশ সদস্য জসিম উদ্দিন, এএসআই নেছার উদ্দিন বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে চাকুরী করেন। একমাত্র কন্যা মরিয়ম সুলতানা শিক্ষাকতা পেশায় নিয়োজিত রয়েছেন। অন্য ২ সন্তান শাহাবউদ্দিন ব্যবসা এবং গিয়াস উদ্দিন নিজের ব্যবহৃত ইজি বাইক ভাড়ায় চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। এতগুলো সু-সন্তানের গর্ভধারীনি মাতার স্বাভাবিক ভাবেই সোনায় সোহাগা থাকার কথা। কিন্তু না সেই গর্ভধারিনী মাতার আজ দু-মুঠো আহারের জন্য মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হয় ভিক্ষার জন্য।
আজ ১৯ সেপ্টেম্বর বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে উপস্থিত হয়ে অসহায় চিকিৎসাধীন মায়ের শয্যার পাশে দাড়িয়ে তার চিকিৎসা ও দেখাশুনার জন্য নগদ ১২,০০০/- টাকা প্রদান করেন ডিসি মহদয় এসময় তিনি সমাজসেবাকে সব ধরনের সহযোগিতা করার জন্য বলেন। মানবিক এই সহায়তার জন্য ধন্যবাদ জেলা প্রশাসক মোঃ হাবিবুর রহমান স্যারকে।
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply